একদিকে নেপাল, অন্যদিকে বাংলাদেশ। আবার বিহারের সীমানা। তাই নির্বাচনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ভারতের শিলিগুড়িতে বাড়ানো হয়েছে পুলিশ।

আগামী ২৬ জুন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের নির্বাচন। একই দিনে আবার দেশটির পাহাড়ে জিটিএরও ভোট। পৌরসভা ভোট শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার পর এবার সামনে গ্রাম দখলের নির্বাচন।

আন্তর্জাতিক সীমান্ত, আন্তঃরাজ্য ও জেলা সীমানা ঘেঁষা অঞ্চল ভারতের শিলিগুড়ি। তাই তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে এত জোরদার। আর এই নির্বাচনের নিরাপত্তা অবস্থা খতিয়ে দেখতে শনিবার (১৮ জুন) সেখানে যান দার্জিলিংয়ের জেলা প্রশাসক এবং শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার। শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা বলেন, নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশ মেনেই সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে।

নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে ভারত-নেপাল সীমান্ত পানিট্যাঙ্কি এবং ইন্দো-বাংলাদেশ সীমান্ত ফুলবাড়িতে। সঙ্গে লাগোয়া উত্তর দিনাজপুর এবং জলপাইগুড়ি জেলার সীমানা এলাকাতেও তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। অন্য জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে এ নিয়ে কথা হয়েছে। তাদের সঙ্গেও তথ্য আদান প্রদান করা হয়েছে।

বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্রের বিরুদ্ধে যেমন অভিযান চলছে। তেমনি অবৈধ মদের কারবারির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত। পুলিশ কমিশনার বলেন, নেপাল ও বাংলাদেশ সীমান্ত নির্বাচনের সময়ে বন্ধ রাখার বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসক এস পুন্নমবালামও কথা বলছেন। আপাতত নির্বাচন নিয়ে যাতে বিহার বা নেপাল থেকে বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র না ঢুকে পড়ে সেদিকে অতিরিক্ত নজর রাখা হয়েছে।